বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান, আমীরে শরীয়ত মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, খেলাফত শাসনব্যবস্থা না থাকায় দেশে খুন, নারী নির্যাতন ও ধর্ষন, দুর্নীতি, জুলুম-নির্যাতনের সয়লাব চলছে। দেশে বাহ্যিক উন্নয়নের অন্তরালে নৈতিকতার চরম বিপর্যয় ঘটছে। ভাস্কর্যের নামে মুসলিম অধ্যুসিত বাংলাদেশের মোড়ে মোড়ে মূর্তি স্থাপন, ইসলামী রাজনীতি বন্ধ, গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। আন্দোলনরত ওলামায়ে কেরাম ও তৌহিদী জনতাকে হয়রানী করা হচ্ছে। ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন ও ইসলামী রাজনীতি বন্ধের ষড়যন্ত্র ধর্মপ্রাণ জনতা কখনো বরদাশত করবে না।
তিনি নএরা বলেন, খেলাফত শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে হযরত মুহাম্মাদ (সা:) যে ইনসাফ ও ন্যায় বিচার বিশ্ববাসিকে উপহার দিয়ে গেছেন তাতে মুসলমানসহ সকল ধর্মের মানুষের ন্যায্য অধিকার রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন-ই চলবে। সংসদে আল্লাহর আইন পাশ করে কুরআন সুন্নাহর শাসন কার্যকর করতে হবে। খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষে তাওহিদী জনতাকে নতুন করে জাগ্রত করতে হবে। তিনি দল-মত নির্বিশেষে সকলকে এক ও নেক হয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান।
আজ ২৯ নভেম্বর, শুক্রবার, সকাল ৯ টায় রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচর জামিয়া নুরিয়া মাদরাসা ময়দানে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ৩৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কালিমা, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দলের প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতির ভাষনে তিনি এসব কথা বলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা সোলাইমান নোমানী, মাওলানা ইসমাঈল বরিশালী, মাওলানা হাজী ফারুক আহমাদ, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা আব্দুর রহমান খান তালুকদার, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা সাঈদুর রহমান, মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী, মাওলানা মীর ইদরীস, হাজী জালাল উদ্দিন বকুল, মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, আলহাজ আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, এডভোকেট লিটন চৌধুরী, মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, মাওলানা সানাউল্লাহ, ডা: নেয়ামত আলী ফকীর, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, এডভোকেট আব্দুল আজীজ মোমেনশাহী, মাওলানা গাজী ইউসুফ ফেনী, মৌলভী আব্দুল রকীব নেত্রকোনা, মাওলানা শেখ সাদী নারায়ানগঞ্জ, মুফতি আব্দুল আজীজ চট্রগ্রাম, মাওলানা শিহাবউদ্দিন কাসেমী গোপালগঞ্জ, মাওলানা আব্দুল্লাহ ইউসুফ বরিশাল, মাওলানা জুনায়েদ আহমাদ কাটখালী, মাওলানা জিয়াউল হক শহিদী, মুফতি মোর্শারফ হোসাইন নরসিংদী, মুফতি ও মাওলানা হাসান ফারুক প্রমুখ।
মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, ইসলাম, কুরআন-হাদিস ও মহানবী সা. কে নিয়ে নাস্তিক্যবাদীরা অপমানজনক ব্যঙ্গ চিত্র প্রদর্শনের দু:সাহস দেখাচ্ছে। যে কোন মূল্যে তাদের প্রতিহত করতে হবে। সব ধরনের ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় খেলাফত আন্দোলনের প্রতিটি কর্মী জনগণকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। তাগুতি শক্তিকে পরাভূত করে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে হবে।
প্রতিনিধি সম্মেলন শেষে মজলিসে শুরার অধিবেশনে মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীকে আমীর (চেয়ারম্যান) ও মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজীকে মহাসচিব পূনঃনির্বাচিত করা হয়।
0 Comments