বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতি জাকির বিল্লাহ ক্ষেতের ফসল ঘরে তুলতে কৃষকদের সহযোগিতা করতে ছাত্রসমাজের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছেন, সারা দেশ করোনা ভাইরাস উদ্ভুত পরিস্থিতিতে প্রায় স্থবির হয়ে আছে। এমতাবস্থা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে মন্দা এমনকি দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না।
অন্যদিকে এখন চলছে বোরো ধান ঘরে তোলার মৌসুম। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী লকডাউনের কারণে ধান কাটার জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক পাচ্ছেন না কৃষকরা। আবার ধান কাটার মেশিনও সব জায়গায় পর্যাপ্ত নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আগাম বন্যার আশংকাও প্রকাশ করা হয়েছে ইতোমধ্যে।
এমতাবস্থায় দেশের ভাটি ও হাওর অঞ্চলের ৪ লাখ ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে চাষকৃত এবং ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত বোরো ধান সংগ্রহ নিয়ে শংকায় আছেন কৃষকরা। সময়মতো এ ফসল ঘরে তুলতে না পারলে সারাদেশে খাদ্য সংকট প্রবল আকার ধারণ করতে পারে। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোর ছাত্রসমাজকে দেশের স্বার্থে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর বিকল্প নেই।
আজ মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের এক জরুরী বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো: জাকির হোসাইনের পরিচালনায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন সহ সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শাহীনুর আলম, আরমান হোসাইন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, মো: ইসমাইল প্রমূখ।
জাকির বিল্লাহ আরও বলেন, সারাদেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এমতাবস্থায় ছাত্রসমাজের হাতে রয়েছে অফুরন্ত সময়। এই সময়কে দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে কাজে লাগানোর মধ্যেই রয়েছে স্বার্থকতা। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে তাই এই কঠিন সময়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে দেশকে আশু মন্দার প্রকোপ থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার নীতি অনুসরণ করে দেশ ও জাতির পাশে দাঁড়ানোর এখনই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
তিনি বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সকল স্তরের সদস্যবৃন্দকে এ বিষয়ে অগ্রণী ভুমিকা পালন করার আহবান জানান।
– খেলাফত ছাত্র আন্দোলন
ইনশাল্লাহ আমরা সবাই কৃষকদের পাশে দাঁড়াবো।